Saturday, 20 August 2016

দুনিয়াতে অসুস্থ ব্যক্তির মত অসহায় আর কেউ নেই


"কিছু গুরুত্ব পূর্ণ কথা"
দুনিয়াতে অসুস্থ ব্যক্তির মত অসহায় আর কেউ নেই। আমরা যখন সুস্থ থাকি তখন সুস্থতার মর্ম বুঝতে পারিনা মন যখন যা চায় তাই করি। এমনো ব্যক্তি আছেন সুস্থ অবস্থায় আল্লাহ পাকের এবাদত করতে ভুলে যায়। কিন্তু যখন অসুস্থ হয়ে পরে তখন কত তওবা আর দিনে কতবার আল্লাহ পাকের নাম নেয় সেটা সে তখনি বুঝতে পারি সুস্থতা আল্লাহ পাকের কত বড় নেয়ামত। কথায় আছে "দাঁত থাকতে দাঁতের মর্ম বোঝেনা" আমরা ঠিক কিছুটা সেরকম টাইপের মানুষ সুস্থ থাকতে সুস্থতার মর্ম বুঝিনা। হাদীস শরীফে এসেছে "কবর" দিনে আমাদেরকে 70 বার মৃত্যুর জন্য ডাকে কিন্তু আমরা অনেকেই এটা জানার পরও দুনিয়াতে ছোট খাটো পাপ থেকে শুরু করে অনেক বড় পাপ কাজ গুলো করে থাকি। এখানে একটা কথা না বললেই নয়, আপনি একবার পাঁচ মিনিটের জন্য চোখ বন্ধ করে ভাবুন আপনি এই মুহুর্তে মারা গেলে আপনি দুনিয়াতে যাদের জন্য পাপ কাজ করে যে আলিসান বাড়ি গাড়ি করেছেন তারাই আপনাকে নির্জন স্থানে কবর দেওয়ার জন্য ব্যস্ত হয়ে পরবে। আপনি একবার ভেবে দেখুন এই মুহুর্তে আপনার নিশ্বাস বন্ধ হয়ে গেলে আপনাকে কোথায় রেখে আসা হবে? আপনি আজকে যে সুখের ঘর বা বিছানায় ঘুমিয়ে ছিলেন সেই সুখের ঘর বিছানা রেখে এক নির্জন স্থানে অন্ধকার কবরে একলা শুয়ে থাকতে হবে। আপনি ভাবুন এই মুহুর্তে মৃত্যু বরণ করলে আপনার পিতা/মাতা থেকে শুরু করে পারা প্রতিবেশী ও আত্মীয় স্বজন এমনকি আপনার ছোট ছোট ছেলে মেয়ে পাশে বসে আব্বু/আম্মু করে কান্না করবে আর বলবে আব্বু/আম্মু তোমরা আমাকে এই দুনিয়ায় একা ফেলে কোথায় চলে গেলে? আমি যে এতিম হয়ে গেলাম। ছেলে মেয়ে আরো বলবে মা আমি যখন ভাত না খেয়ে ঘুমিয়ে পরতাম তুমি জোর করে আমাকে ঘুম থেকে তুলে ভাত খাইয়ে দিত এখন কে আমাকে ভাত খেতে বলবে? তারা বলবে আব্বু তুমি প্রতিদিন সকালে আমার হাত ধরে আমাকে স্কুলে নিয়ে যেতে এখন কে আমাকে স্কুলে নিয়ে যাবে? এরকম হাজারো প্রশ্ন করবে। এবং তাদের এই অবুঝ মনের কান্নার জবাব আপনি দিতে পারবেন না আপনি শুধু চেয়ে চেয়ে দেখবেন। এই কথা গুলো বলার মানে হল মৃত্যু আমাদের কত কাছে কিন্তু তারপরও আমরা দুনিয়াতে অহংকার করে থাকি। আমাদের সবাইকে মানতে হবে পৃথিবীতে আমাদের জন্ম যখন হয়েছে তখন মৃত্যুও হবে। আপনি কোন পাপ করার আগে যদি একবার মৃত্যুর কথা শরণ করেন তাহলে আমার মনে হয় আপনার অন্তরের অন্তর স্থল থেকে আপনার বিবেক খারাপ কাজ করতে বাধা দেবে। মানুষ দুনিয়াতে নিজের ইচ্ছায় হক বা অন্যের ইচ্ছায় হক কমবেশি সবাই পাপ করে থাকে। মহান আল্লাহ পাক পবিত্র কোরআন শরীফ এবং বিভিন্ন হাদীস শরীফে পরিস্কার করে বলে দিয়েছেন " নামায বেহেশতের চাবি আর তাই তোমরা পাঁচ ওয়াক্ত নামায পড় এবং সত্য পথে চলে সত উপার্জন কর আর দুনিয়াতে অহংকার করিওনা কেননা বে-নামাজী, অহংকারী, ব্যক্তিকে কাল কেয়ামতের দিন কঠিন তম শাস্তি দেয়া হবে"। তাই আপনি নিজে পাঁচ ওয়াক্ত নামায পড়ুন এবং আপনার পরিবারের সদস্যদের নামায পড়তে বাধ্য করুন আর দুনিয়াতে যে কয়দিন বেছে থাকবেন সেটা যেন সত পথ হয় অসত পথ না হয়। চেষ্টা করুন সত পথে উপার্জন করে নিজে এবং নিজের পরিজনকে সুখে রাখুন। কেননা হালাল রুজিতে অনেক বরকত ও শরীর সুস্থ থাকে।। নোটঃ শরীরটা ভালনা তাই লেখাটা পুরোপুরি শেষ করতে পারলাম না। ------------------------------------Arif Zaman

No comments: