স্বাগতম, এই সাইট এ আপনি সকল প্রকার মন ভালো করার গল্প কবিতা পাবেন, শুধু তাই নয়! এই সাইট এর মূল উদ্দেশ্য হল গল্প কবিতার মাধ্যমে দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফুটানো এবং তাদের সকল দুঃখ শেয়ার করা, যাদের মন খারাপ তারা এই সাইট এর কবিতা পড়ুন এবং নিজেকে আধার জীবন থেকে ফিরিয়ে আলোর পথে নিয়ে আসুন।
Friday, 4 November 2016
♥প্রথম শিহরণ♥
♥প্রথম শিহরণ♥
৫.
ভেবেছিলাম সে হয়ত আমার সাথে আর কথাই বলবে না। কিন্তু দেখলাম আমার ধারনা ভুল। সে আগের মতই আমার সাথে গল্প করছে। আমার খুব ভাল লাগল তার ব্যাবহারে। সে হয়ত নিজে থেকেই বুঝতে পেরেছে যে এ ভালবাসা কোন দিন সম্ভব নয়। আমাদের বন্ধুত্ব আগের থেকে আরও ভাল হল। আমাকে সে অনেক কথা বলত নিজের সম্পর্কে। আমার খুব ভাল লাগত তার কথা শুনতে। সেবার আমার জন্মদিনে বছরের প্রথম বৃষ্টি হয়। বিকেলে আমরা তাদের নির্মাণাধীন বিল্ডিং এর ছাঁদে বসে
গল্প করছিলাম। হঠাৎ করেই কোন আগাম সংকেত না দিয়েই মুষলধারে বৃষ্টি শুরু হল। আমরা তাড়াতাড়ি নিচে নেমে এসে অসমাপ্ত একটা রুমে আশ্রয় নিলাম। কেউ কোন কথা বলছি না। কিছুক্ষণ পরেই বৃষ্টির তেজ কমে গেল। আমি বাসায় যাওয়ার জন্য উঠে দাঁড়ালাম। সে কোথা থেকে জানিনা হঠাৎ একটা টুকটুকে লাল গোলাপের কলি বের করে আমার দিকে বাড়িয়ে দিল। তারপর আমাকে হতভম্ব করে দিয়ে আমার ঠোঁটে আলতো করে একটা কিস করল। Happy Birthday to You. সে আর কিছু না বলে বেরিয়ে গেল। আর আমি বজ্রাহতের মত সেই অন্ধকার প্রায় ঘরে দাঁড়িয়ে রইলাম, হাতে একটি লাল গোলাপ নিয়ে।
♥প্রথম শিহরণ♥
৬.
আড়াই মাস পর আমার এস.এস.সির রেজাল্ট দিল। A+ পেয়ে ভালই লাগছিল। তখনও গোল্ডেন এর খবর আসেনি। আম্মু খুশিতে বাসার আশে পাশের সবাই কে মিষ্টি খাওয়াল। বিকেলে তানিয়া কে নিয়ে হাঁটতে বের হলাম। ওর পরীক্ষা প্রায় শেষ। আর বোধহয় একটা বাকি আছে। তাও ৫ দিন পর। আমরা এখন নিয়মিত বের হই হাঁটতে। ওর সাথে গল্প করতে খুব ভাল লাগে আমার। কিভাবে যে সময় টা চলে যায় টের ই পাইনা। আমার মাথায় যে এত গল্প ছিল আমি নিজেও আগে টের পাইনি। রাজ্যের কথা হয় ওর সাথে। গল্পের কোন শুরু-শেষ নেই। আমার রেজাল্টে তুমি খুশি হওনি? অসম্ভব খুশি হয়েছি। আমার খুব ভাল লাগছে। ইনশাল্লাহ তুমি গোল্ডেন ও পাবে, দেখ।দোয়া কর।
দিঘীর পাড়ে এসে বসলাম। অপূর্ব সুন্দর একটা জায়গা। আমার খুব ই ভাল লাগে এখানে এসে বসতে। তার ওপর ও সাথে থাকলে তো কথাই নেই। শুধু ওর দিকে তাকিয়েই সময় পার করে দেয়া যায়। মুগ্ধ হয়ে ওর কথা শুনছি। “মেমসাহেব” এ পড়া সেই শের এর অনুবাদ মনে পড়ে গেল- “তুমি আমার সামনে বসে আছ, আমার সাথে কথা বলছ। তুমিই বল তোমাকে দেখব, না তোমার সাথে কথা বলব”। ওর ভাল লাগা, না লাগা জিনিস গুল কেন জানি নিজের সাথে মিলে যাচ্ছে। না মিললেও নিজের ভালোলাগাকে পরিবর্তন করতে ইচ্ছা হচ্ছে। কাল আমাকে ঢাকায় যেতে হবে। আমার কথা শুনেই ওর মুখটা কাল হয়ে গেল।
কেন? আব্বু যেতে বলেছে। আমাকে একটা মোবাইল কিনে দেবে। তাই পছন্দ করতে যেতে হবে। না গেলে হয়না? ওর কষ্ট আমাকে ছুঁয়ে গেল। খুবই খারাপ লাগছে। নিজেকে স্বার্থপর মনে হল খুব। কী দরকার যাওয়ার? নাই বা গেলাম। কিন্তু মুখ ফুটে বলতে পারলাম না। নিজের একটা মোবাইলের আশা আমার অনেক দিনের। সে আশাটাকে জলাঞ্জলি দিতে খুব কষ্ট লাগল। আমাকে যেতেই হবে। মাত্র তো কয়েকদিন। তারপর ই ফিরে আসব আবার। প্লিজ তুমি আমার উপর রাগ করে থেক না। ধুর পাগল। আমি তোমার উপর রাগ করব কেন? তুমি যাও কয়েকদিন ঘুরে আস। ও না বললেও বুঝতে পারছিলাম কষ্টে ওর বুক ফেটে যাচ্ছে, কিন্তু মুখে স্বীকার করছে না। ওর প্রতি ভালবাসা আমার কয়েকগুন বেড়ে গেল।Tuesday, 1 November 2016
♥প্রথম শিহরণ♥
৭.
ভেবেছিলাম ঢাকায় অনেক মজা হবে। কিন্তু এসে কিছুই ভাল লাগছিল না। বারবার আসার সময়কার ওর মুখটা ভেসে উঠছিল। আসার আগে ও আমার রুমে এসে চুপচাপ কিছুক্ষণ বসে ছিল। হঠাৎ খেয়াল করে দেখি ওর গাল বেয়ে পানির ফোঁটা ঝরে পড়ছে। আমি আশে পাশে কিছু চিন্তা না করেই ওর মুখটা দু’হাত দিয়ে তুলে ধরে ওর ঠোঁটে একটা কিস করলাম। আমার পক্ষ থেকে এই প্রথম ওকে কিস করা। ওকে জড়িয়ে ধরে বসে থাকলাম কিছুক্ষণ। একটু পর ই ও নিজেকে শান্ত করে নিল। তারপর আমার দিকে তাকিয়ে জোর করে একটা হাসি দিল। ভাল ভাবে যেও। আর তাড়াতাড়ি চলে এস। আমি তোমার অপেক্ষায় থাকব।আমি কিছুই বলতে পারলাম না। চুপ করে বসে থাকলাম। একটু পর আম্মু বাইরে থেকে এলে ব্যাগ নিয়ে বের হলাম। ও আম্মুর সাথে আমার পিছনে পিছনে আসতে লাগল। বাস ছাড়া পর্যন্ত তারা দাঁড়িয়েই ছিল। জানালা দিয়ে বারবার ঘাড় ঘুরিয়ে ওকে দেখার চেষ্টা করছিলাম। আস্তে আস্তে ও দৃষ্টির আড়ালে চলে গেল। কেন জানিনা চোখের কোণ বেয়ে এক ফোঁটা অশ্রু গড়িয়ে পড়ল। আশা করেছিলাম ঢাকায় এসে নারায়ণগঞ্জ যাব। ক্লাস 6 এ ক্যাডেট কোচিং করার জন্য সেই যে নারায়ণগঞ্জ ছেড়ে টাঙ্গাইল এসেছিলাম আর ফেরা হয় নি। আমার স্কুল জীবনের বন্ধুদের খুব মিস করি। কিন্তু বিধি বাম। ঢাকায় এসে সাত দিন থাকলাম, একটা দিন ও বৃষ্টির জন্য বাইরেই বেরুতে পারলাম না। শুধু মোবাইল কেনাই সার হল, আর কিছুই করা হয়নি। সারাদিন ঘরে বসেই কাটাতে হয়েছে। কি আর করা, ব্যর্থ মনোরথে আবার বাড়িতে ফিরে এলাম।(এখন পর্যন্ত ও আমি নারায়ণগঞ্জ যেতে পারিনি।
বাসায় এসে হঠাৎ খেয়াল করলাম আমার বাসায় তানিয়াকে আর দেখা যাচ্ছে না কখনো। খুব অবাক লাগল। ওকে জিজ্ঞেস করাতে কিছুই বলল না। শেষে আমার ছোট বোনের কাছে শুনলাম কাহিনী। আমি যেদিন ঢাকা যাই সেদিন আমার এক খালাত বোন আসে আমাদের বাসায়। আমি তার আগমন টের পাইনি। আমার ঘরের দরজায় দাঁড়িয়ে সে আমাকে আর তানিয়াকে একসাথে দেখতে পায়। দুর্ভাগ্যক্রমে আমি তখন তানিয়া কে কিস করছিলাম। সে কিছু না বলেই বেড়িয়ে চলে যায় বাসা থেকে। পরবর্তীতে আমি চলে গেলে বাসায় এসে আম্মুকে সব কথা বলে দেয়। আর তারপর আম্মু তানিয়ার সাথে কথা বলাই বন্ধ করে দেয়। তানিয়াও বুঝতে পারে যে কোন একটা সমস্যা হয়েছে, তাই সে আর আমাদের বাসায় আসে না। মনে হল নিজের উপর দিয়ে একটা ঝড় বয়ে গেল। সব শুনে আমি পাথরের মত চুপ করে বসে রইলাম। আগের মত বাইরে বেরাতে যাওয়া বন্ধ হয়ে গেল। মাঝে মাঝে আমি ওদের বাসায় যেতাম ঠিক ই কিন্তু ও আর আমার বাসায় আসত না। এদিকে আমার কলেজে যাওয়ার সময় এসে গেল। না বলা এক যন্ত্রণা নিয়ে কলেজে ফিরে গেলাম। এসে কয়েকদিনের মধ্যেই টের পেলাম জীবনে প্রথম বারের মত আমি সত্যি সত্যি কাউকে খুব বেশী ভালবেসে ফেলেছি।-
তোমার পায়ে পা রেখে আমি হাটতে চাই, দেবেকি আমায় তোমার বুকে একটু খানি ঠাই? তোমার কাধে দুহাত রেখে আমি হাটতে চাই, দেবেকি আমায় তোমার বুকে একটু খ...
-
হাজার মানুষের ভিড়ে যেদিন খুজবে তুমি আমায়, ভালোবাসার হৃদয় সেদিন ধিক্কার দেবে তোমায়। নতুন ঘরে তোমার জীবন কাটব অনেক সুখে, আধার ঘরে আমার জীবন ক...
-
পার্ট-১ এসো হাত ধরো হাতে, চলো অন্তহীন পথে, এসো তুমি, আর আমি, দু’চোখে স্বপ্ন হয়ে নামি… “ঐ থাম, হইসে। শাহবাগ মোড়ে এইভাবে চিৎকার করিস,...